তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বুধবার শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দফায় শুধু তাঁরই শপথ। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, বাকি মন্ত্রিসভার শপথ হতে পারে রবিবার, ৯ মে। তার আগে ৬ ও ৭ মে নব-নির্বাচিতদের বিধায়ক পদে শপথগ্রহণ।
বুধবার রাজভবনে মমতার শপথ হবে বেলা ১০টা ৪৫মিনিটে। করোনা পরিস্থিতির জন্য শপথ অনুষ্ঠান অনাড়ম্বর রাখার সিদ্ধান্ত আগেই ঘোষণা করেছেন মমতা।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ করেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানেই তিনি প্রথামাফিক দ্বিতীয় দফার সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যপালের হাতে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
বুধবারের শপথে রাজ্য সরকারের তরফে আমন্ত্রিতদের তালিকা এ বার খুব বড় নয়। আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিদায়ী বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা, বিধানসভার বিরোধী নেতা আব্দুল মান্নান, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতো কয়েক জন নেতাকে।
শপথে থাকবেন তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর, তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় ও দেব। আমন্ত্রিতের তালিকায় আরও একটি উল্লেখযোগ্য নাম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
সম্ভাব্য মন্ত্রীদের নাম নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি মমতা। তবে যত দূর খবর, গত সরকারের উল্লেখযোগ্য বড় মাপের যে সব মন্ত্রী জিতেছেন তাঁদের সকলকেই রাখা হবে। মহিলা মন্ত্রীর সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে। আর তরুণ বিধায়কদের জায়গা হতে পারে আগামী মন্ত্রিসভায়। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘বিধায়ক পদে শপথ হওয়ার পরে মমতা তালিকা চূড়ান্ত করবেন।’’
এ দিন দলের নব-নির্বাচিত বিধায়কদের বৈঠকে সরকার গঠনের দলীয় প্রস্তুতি শুরু করে আলোচনা করেছে তৃণমূল। সেখানে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিষদীয় নেতা মনোনীত হওয়ার পর দলের বিজয়ী প্রার্থীদের আশু করণীয় ব্যাখ্যা করেন মমতা। নিজেদের এলাকায় শান্তি বজায় রেখে করোনা আক্রান্তদের পাশে থাকতে বলেছেন তৃণমূল নেত্রী।