ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এমন কোনো চাপ নেই, যা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। কেননা আমার শক্তি হচ্ছে জনগণ এবং ওপরে আল্লাহ আছে। আমার পিতার আশীর্বাদ আমার মাথার ওপরে আছে। কে কী চাপ দিল, তা আমাদের কিছু এসে যায় না। জনগণের কল্যাণে যা দরকার আমরা তাই করব।’
আজ সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের অনেক চাপ পদ্মাসেতু করার আগেও ছিল। একটি লোককে ৭০ বছরেও এমডি পদে রাখতে হবে—এ জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চাপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা এ ধরণের চাপকে উপেক্ষা করে পদ্মাসেতু করতে সক্ষম হয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের জন্য কাজ করছি। আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাব। এতে করে কোনো চাপ আমাদের আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে ডলার ঊর্ধ্বমুখী। বিশ্বের অন্যদেশও চাইলে একসঙ্গে অনেক বেশি ক্রয় করতে পারে না। আমরা দেশে অনাবাদি জমি কমানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোন এলাকায় কোন ধরনের ফসল হয়, সেসব এলাকায় প্রয়োজনীয় ফসল উৎপাদনে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
মুরগি ও ডিমের দামের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছয় ঋতুর দেশ। কখনও দাম বাড়ে, কখনো কমে। তাই এমন পর্যায়ে রাখতে হবে যেন, যারা উৎপাদন করে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, আবার অতিরিক্ত দামের কারণে ক্রেতাও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এটার সমন্বয় করতে হবে। কেউ মজুত করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদেরও সজাগ থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সবাইকে কৃষি উৎপাদনে এগিয়ে আসতে হবে। বাসাবাড়িতে টমেটো, কাঁচা মরিচ, শাকসবজি চাষ করতে হবে। আমি নিজেও আমার বাসার ছাদে টমেটো চাষ করেছি। তা দিয়ে সকালে সালাত হিসেবে নাস্তার সঙ্গে খাই। তাই সবাইকে কৃষি কাজের প্রতি জোর দিতে হবে। সবার সহযোগিতা থাকলে দেশে ইনশা আল্লাহ খাদ্য সংকট হবে না।’