Home Sports ‘এটা তো স্কুল না যে হেডমাস্টারের কাছে অভিযোগ করবেন’

‘এটা তো স্কুল না যে হেডমাস্টারের কাছে অভিযোগ করবেন’

69
0

ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে দিনশেষে মাঠের লড়াই ছাপিয়ে বাইরের নানা ইস্যু আলোচনায় উঠে এসেছে। ‘ফেক ফিল্ডিং’ ছাড়াও ভেজা মাঠে ম্যাচ খেলানো নিয়ে ম্যাচের পর থেকে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এই দুটি ইস্যু নজরে আনলেও সেখানে কর্ণপাত করেননি আম্পায়াররা।

মাঠে ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরা বিষয়টি নিয়ে সরব ভূমিকাতে ছিলেন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি কী ভাবছে? আজ (বৃহস্পতিবার) অ্যাডিলেডে সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছিল ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কাছে। গণমাধ্যমকে জালাল ইউনুস বলেছেন, চাইলেই বোর্ড গিয়ে অভিযোগ করতে পারে না।

তারপরও সঠিক জায়গায় বিতর্কিত এই ইস্যু নিয়ে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান, ‘এটা সহজ না যে কিছু হলেই বোর্ড গিয়ে আলাপ করবে। এটা তো স্কুল না যে আপনি হেডমাস্টারের কাছে অভিযোগ করবেন। এই ধরনের অবস্থা না। তারপরেও আমাদের মাথায় আছে এটা। যাতে সঠিক ফোরামে গিয়ে কথা বলতে পারি।’

অন্য সবার মতো আম্পায়াদের এমন সিদ্ধান্তে নাখোশ বিসিবির এই পরিচালক, ‘দুটো ইস্যু ছিল, একটা ফেক থ্রো। সেটা আম্পায়ারের নজরে আনা হয়েছে, আম্পায়ার বলছে তারা এটা খেয়াল করেনি। যার জন্য রিভিউতে যায়নি। সাকিব এটা নিয়ে অনেক আলোচনা করেছে এরাসমাসের (আম্পায়ার) সাথে, খেলার পরেও কথা বলেছে। একই সময়ে মাঠ ভেজা নিয়েও কথা হয়েছিল, সাকিব বারবার বলছিল সময় নিয়ে মাঠটা শুকাও, তারপর খেলা শুরু করো। আপনারা জানেন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সেজন্য তর্ক-বিতর্ক করার কোনও সুযোগ ছিল না, সিদ্ধান্ত একটা আপনি খেলবেন কি খেলবেন না।’

ভারতের বিপক্ষে ৫ রানে হারের পর আলোচনায় ‘ফেক ফিল্ডিং’ এবং ভেজা মাঠে খেলানো। দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা লিটন দাস ভেজা মাঠে নিয়ন্ত্রণ হারালে রানআউট হন। বৃষ্টি নামার আগে নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটনের ডাবলস নেওয়ার সময় ফেক ফিল্ডিং করেছিলেন বিরাট কোহলি। ঘটনাটি ষষ্ঠ ওভারে। বোলিং করছিলেন ভারতের বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। ওই ওভারে বল না ধরেই কোহলি থ্রো করার ভান করেন। সেটি দেখেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ৫ রান পাওয়ার জন্য আম্পায়ার মারাইস এরাসমাসের কাছে ছুটে যান। কিন্তু আম্পায়ার সাড়া পাননি। উল্টো আম্পায়ার নাকি বলে দেন, ‘আমার চোখে তো পড়েনি।’

তবু তা নিয়ে চেষ্টা থামায়নি বাংলাদেশ। ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান তোলার পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলে ড্রেসিং রুমে আরেক দফা এটি নিয়ে সোচ্চার হয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এবার এরাসমাসের কাছে ছুটে যান খোদ বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর শ্রীধরন শ্রীরাম। দ্বিতীয় চেষ্টায়ও কাজ হয়নি। কারণ আম্পায়ারের বক্তব্য ছিল অভিন্ন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here