Home International নির্বাচন পূর্ববর্তী ইলেকশান এক্সপ্লেইনার সিরিজের অংশ হিসেবে এবারে রয়েছে: দি অস্ট্রেলিয়ান গ্রিনস্

নির্বাচন পূর্ববর্তী ইলেকশান এক্সপ্লেইনার সিরিজের অংশ হিসেবে এবারে রয়েছে: দি অস্ট্রেলিয়ান গ্রিনস্

60
0

আনুষ্ঠানিকভাবে দি অস্ট্রেলিয়ান গ্রিনস্‌ এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯২ সালের ৩০ আগস্ট। রাজ্য-ভিত্তিক স্বতন্ত্র ‘গ্রিন’ দলের প্রতিনিধিরা সেবার একটি নতুন ফেডারাল পার্টি তৈরির উদ্দেশ্যে সিডনিতে একত্রিত হয়েছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে একটি প্রভাবশালী দল হিসেবে এই গ্রিনস্‌ দলের সাফল্য ও বেড়ে ওঠার কৃতিত্বের অনেকটুকুই প্রাক্তন গ্রিনস্‌ নেতা ও পরিবেশবাদী বব ব্রাউনকে দেয়া হয়।

ডক্টর বব ব্রাউন ১৯৪৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের ওবেরনে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি প্রথমে ক্যানবেরায় ও পরে লন্ডনে একজন সার্জেন হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। পরে তিনি টাসমানিয়ার লনসেস্টনে বসবাস করা শুরু করেন। সেখানেই জিপি হিসেবে কাজ করার সময় রাজ্যের পরিবেশবাদী আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে যান।

১৯৭২ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ‘গ্রিন’ দল ইউনাইটেড টাসমানিয়া গ্রুপের সদস্য হিসেবে যোগ দেন। অনেকের মতেই এই দলটি রাজ্য-ভিত্তিক ‘গ্রিন’ দলগুলোর রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সূচনা করে দিয়েছিল।

এই রাজ্য-ভিত্তিক দলগুলোই ১৯৯২ সালে একত্রিত হয়ে ফেডারাল অস্ট্রেলিয়ান গ্রিনস্‌ দল গঠন করে।

১৯৯৬ সালে ডক্টর ব্রাউন ফেডারাল সংসদে প্রবেশ করেন, এবং দুই বছর পরেও তিনিই ছিলেন গ্রিনস্‌ পার্টির একমাত্র সংসদ সদস্য।

গ্রিনস্‌ পার্টির বিকশিত হওয়ার পেছনে ভোটারদের পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং একবিংশ শতকের শুরুর দিকের রাজনৈতিক আবহাওয়াই বেশি ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু ফেডারাল পর্যায়ে দলটির সমর্থন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কমে গেছে।

গ্রিনস্‌ পার্টি ২০১০ সালে লেবার পার্টির সঙ্গে একটি ‘সাপ্লাই এন্ড কনফিডেন্স’ চুক্তি স্বাক্ষর করে। যার ফলস্বরূপ বেশ কিছু বিষয়ে এই দুই দল একত্রে মিলে কাজ করছিল।

বব ব্রাউন ১৬ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ান গ্রিনস-এর নেতৃত্ব দেয়ার পর ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে দলের নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। যদিও তার মেয়াদের তখনও অর্ধেক সময় বাকি ছিল।

পদত্যাগের মাধ্যমে তিনি সংসদ সদস্য ক্রিস্টিন মিল্‌ন-এর কাছে নেতৃত্ব হস্তান্তর করেন। ক্রিস্টিন টাসমানিয়ায় ব্রাউনের পরিবেশ আন্দোলনের শুরুর দিনগুলোয় তাঁর সাথে একত্রে কাজ করেছিলেন।

অনেকেই মত দিয়েছিল যে এই নেতৃত্ব বদলের মধ্য দিয়েই গ্রিনস্‌ দলের ইতি টানা হয়ে যাবে। ডক্টর ব্রাউন সেই সময়ে এটিকে অত্যন্ত ভুল একটি ধারণা হিসাবে অভিহিত করেছিলেন।

সিনেটর মিল্‌ন-এর নেতৃত্বে গ্রিনস্‌ পার্টি আরও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে এবং ২০১৩ সালে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে লেবার পার্টির সাথে তাদের চুক্তির সমাপ্তি ঘটায়।

সে সময় সিনেটর মিল্‌ন লেবার পার্টিকে মাইনিং ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ করেন।

সিনেটর মিল্‌ন আরও দাবি করেন যে গ্রিনস্‌ই একমাত্র দল যারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে ভাবে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যুটি অদুর ভবিষ্যতে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে।

রিচার্ড ডি নাটালে মিজ মিল্‌নের কাছ থেকে ২০১৫ সালে দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ২০২০ সালে সেই পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

রিচার্ড ডি নাটালের অবসরের পরপরই অ্যাডাম ব্যান্ড্‌ট নেতৃত্বের জন্যে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেন এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দলের নেতৃত্ব পান।

আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে এ বছরে ভোট প্রদানের সময় জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত নীতিমালা ভোটারদের মনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

কিন্তু ডক্টর চেন এটাও বলেন যে, পরিবেশগত উদ্বেগ এখন শুধু গ্রিনস্‌ পার্টির একার ইস্যু নয়, বরং সব দলেরই। সে ক্ষেত্রে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে গ্রিনস্‌ পার্টিকে তাদের ফোকাস আরও বিস্তৃত করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here