কিউবায় সাম্প্রতিক সরকারবিরোধী আন্দোলনে নির্বিচারে আটক বিক্ষোভকারীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বন্দিদের ওপর কর্তৃপক্ষের দমনপীড়ন নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর এই জোট। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নিজেদের এমন দাবি ও উদ্বেগ তুলে ধরেছে ইইউ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
ইইউ-এর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল বলেন, ‘কিউবা সরকারকে আমরা সার্বজনীন মানবাধিকার কনভেনশনে অন্তর্ভুক্ত মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানাই।’
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থতা এবং অর্থনৈতিক সংকট বেড়ে যাওয়ায় সরকারের প্রতি কিউবার জনগণের ক্ষোভ বাড়ছিল। এক পর্যায়ে জুলাইয়ের গোড়ার দিকে রাস্তায় নেমে আসে তারা। ১৯৯৪ সালের পর এবারই সবচেয়ে বড় ধরনের সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে পড়েছে কিউবা। শুধু রাজধানী হাভানা নয়, পুরো দেশজুড়ে রাজপথে নামে হাজার হাজার মানুষ। এসব বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ধরপাকড় চালায় সরকারি বাহিনী।
বৃহস্পতিবার নির্বিচারে এই ধরপাকড়ের শিকার লোকজনের মুক্তি দাবি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যদিও এরইমধ্যে অনেকের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে প্রায় ৭০০ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে কম বয়সীরাও রয়েছে। সরকারিভাবে আটক বা গ্রেফতারকৃতদের সুনির্দিষ্ট কোনও সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। তবে শুধু বিক্ষোভের কারণে কাউকে গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। সরকারের দাবি, বিশৃঙ্খলা ও ভাঙচুরের মতো অপরাধের সঙ্গে যুক্তদেরই কেবল আটক করা হয়েছে।