করোনাভাইরাসের উদ্বেগজনক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় মহামারি ঠেকানো এমনিতেই অনেক কঠিন করে তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর এমার্জেন্সি কমিটি সতর্ক করে বলেছে, ভাইরাসটির আরও বেশি ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিতে পারে। যা মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে আনাকে আরও কঠিনতর করে তুলতে পারে। বুধবার মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে অষ্টম বৈঠকের এক বিবৃতিতে কমিটি এসব কথা বলেছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এখবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহামারি পরিস্থিতি অবসানের কাছাকাছিই এখনও যেতে পারেনি। কমিটির চেয়ারম্যান দিদিয়ের হৌসিন স্বীকার করেছেন, পরিস্থিতি বর্তমান প্রবণতা উদ্বেগজনক।
তিনি বলেছেন, ডব্লিউএইচও-এর সর্বোচ্চ সতর্কতা জারির দেড় বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এখনও আমরা ভাইরাসের পেছনে ছুটছি এবং ভাইরাস আমাদের পেছনে।
এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের চারটি ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করছে। এগুলো হলো আলফা, বেটা, গামা ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এগুলোর ডেল্টা দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক।
কিন্তু কমিটির পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, আরও খারাপ পরিস্থিতি হয়ত সামনে অপেক্ষা করছে। আরও বেশি বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিতে পারার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে এবং তা বিশ্বজুড়ে ছড়াতে পারে। যা মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে আনা আরও কঠিন করে তুলবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসের কোনও ভ্যারিয়েন্টকে তখনই উদ্বেগের বলে ঘোষণা করে যখন তা বেশি সংক্রমণশীল, বেশি প্রাণঘাতী কিংবা টিকার প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এর আগে সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস বলেন, কিছু কিছু দেশে টিকার অভাব আর অধিকাংশ জনগণকে টিকা দেওয়া দেশগুলোতে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানার গাফিলতিই তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক স্তরে পৌঁছে দিয়েছে আমাদের। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব দেশকে তাদের মোট জনসংখ্যার অন্তত ১০ শতাংশকে টিকা দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। আর এ বছরের শেষে প্রতিটি দেশের নাগরিকদের অন্তত ৪০ শতাংশকে টিকা দিতে হবে।