লকডাউনের সঙ্গে বৃষ্টিতে সকাল থেকেই ঘরবন্দি মানুষ। তাছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। বেশিরভাগ সড়কে রিকশাসহ অল্প কিছু যানবাহন চলছে। তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে কোথাও কোথাও।
শুক্রবার (২ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মোহাম্মদপুরে বেশিরভাগ রাস্তা ফাঁকা। সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে এবং বৃহস্পতিবারে অকারণে ঘুরতে বের হওয়া অনেক ব্যক্তিকে আটকের ঘটনায় দোকানপাট আজ কিছু খোলা পাওয়া গেলেও লোকজনের উপস্থিতি কম দেখা গেছে।
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, কাওরান বাজারের প্রধান সড়ক, সায়েন্স ল্যাব এলাকা, শাহবাগ, মিরপুরের ৬, ৭ ও ১২ নম্বরের রাস্তাঘাট ফাঁকা। লোকজনের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকার কাঁচাবাজার খোলা থাকলেও বাজারে লোকজনের উপস্থিতি কম ছিল।
বৃষ্টিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কিছু শিথিল অবস্থা দেখা গেছে। অনেকের মুখের মাস্ক দেখা গেছে থুতনির নিচে।
রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার ভেতরের গলিগুলোতে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বেশকিছু দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। সাধারণ মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক বেড়েছে। বৃহস্পতিবার খিলগাঁও রেলগেটে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দেখা গেলেও আজ তা দেখা যায়নি। ফলে সাধারণ মানুষ যে যার মতো করে ঘোরাঘুরি করছেন। কাউকে কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে দেখা যাচ্ছে না। তবে মাঝে মধ্যে এই এলাকায় পুলিশের টহল গাড়ি দেখা গেছে। খিলগাঁও প্রভাতীবাগ এলাকার বাসিন্দা সারমিন আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক বাজার করার জন্য খিলগাঁও রেলগেট কাঁচাবাজারে এসেছি। বাজার সেরে এখন আবার বাসায় চলে যাচ্ছি। লকডাউন হলেও মানুষের উপস্থিতি কিছুটা বেশি বলে মনে করেন তিনি।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিতে গতকালের (১ জুলাই) মতো আজও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় থাকতে বেগ পেতে হয়েছে। অলি-গলিতে পুলিশের টহল কম দেখা গেছে। ফলে কিছু এলাকার অলি-গলিতে লোকজনের উপস্থিতি দেখা গেছে।