অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বের দীর্ঘতম সুন্দর গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে অস্বাভাবিক জলবায়ু পরিবর্তনে এই অসাধারণ দ্বীপটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় আর রাখতে চাচ্ছে না ইউনেস্কো। সংস্থাটির মতে, বছরের পর বছর আবহাওয়া পরিবর্তনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এই প্রবাল দ্বীপে। এজন্য ‘বিপদাপন্ন’ তালিকায় রাখার কথা ভাবছে ইউনেস্কো।
প্রতিবছরই জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। এর প্রভাবে হারিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর স্বাভাবিক আবহাওয়া। দেখা দিচ্ছে জলোচ্ছ্বাস, খড়াসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। একই কারণে অস্ট্রেলিয়ার প্রাকৃতিক সুন্দর গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনেস্কো।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভারসাম্য হারাচ্ছে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ
সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী মাসের বৈঠকে বিশ্বের দীর্ঘতম প্রবাল রিফটিকে হেরিটেজের তালিকা থেকে অবশ্যই বাদ দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে ‘ইন ডেঞ্জার’ বা ‘বিপদাপন্ন’ তালিকায় রাখার দাবিও তুলেছেন তারা। তাদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের দ্বীর্ঘতম প্রবাল রিফ-এ অস্বাভাবিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য ঝুঁকির মুখে পড়েছে এটি।
২০১৭ সালেও ইউনেস্কোর এক বৈঠকে প্রবাল দ্বীপটিকে ‘বিপদাপন্ন’ তালিকায় রাখার কথা উঠে। কিন্তু সেবার ক্যানবেরা কমিটি রিফের উন্নয়নে দুই দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ রাখে। যদিও পাঁচ বছরেও এর তেমন উন্নতি দেখছে না ইউনেস্কো। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় এ প্রবাল প্রাচীর মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্বের দীর্ঘতম প্রবাল দ্বীপটি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা
তবে ইউনেস্কোর এমন দাবি মানতে নারাজ অস্ট্রেলিয়া। এমনকি সংস্থাটির দাবিকে অযোক্তিক অ্যাখা দিয়ে বিরোধিতা করেছে স্কট মরিসন সরকার। তাদের দাবি, গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে টেকানোর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে আসছে অস্ট্রেলিয়া। সুতরাং তারা চায় না বিশ্ব হেরিটেজ তালিকা থেকে এই রিফকে বাদ দেয়া হোক।
কুইন্সল্যান্ডের উপকূলের পাশে এই রিফকে ১৯৮১ সালে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় ঢোকানো হয়। এই রিফ কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের প্রতীকও। প্রতি বছর বহু পর্যটক ঘুরতে যান।