মার্কিন কোম্পানি নোভাভ্যাক্সের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা ৯৩ শতাংশের বেশি কার্যকর। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করে সোমবার কোম্পানিটি এই তথ্য জানিয়েছে। তাদের দাবি, করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এই কার্যকারিতার হার পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যুক্তরাজ্য ও মেক্সিকোর প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেন। এই ধাপের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জরুরিভিত্তিতে টিকাটি প্রয়োগের অনুমোদন পাওয়ার পথ উন্মুক্ত হলো। এই বছরের তৃতীয়ার্ধ্বে টিকাটি অনুমোদন পেতে পারে বলে প্রত্যাশা করছে নোভাভ্যাক্স।
কোম্পানিটি জানায়, প্রোটিনভিত্তিক করোনা টিকাটি ৯৩ শতাংশের বেশি কার্যকর। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতে শনাক্ত হওয়া করোনার ভ্যারিয়েন্টও ছিল।
নোভাভ্যাক্সের গবেষণা ও উন্নয়ন প্রধান ড, গ্রেগরি গ্লেন জানান, উচ্চ ঝুঁকির গুরুতর আক্রান্ত স্বেচ্ছাসেবীদের ক্ষেত্রে টিকাটি ৯১ শতাংশ, মাঝারি ও গুরুতর আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ এবং নোভাভ্যাক্স শনাক্ত করতে পারেনি এমন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ কার্যকর।
তিনি বলেন, সত্যি কথা বলতে বিশ্বে করোনার নতুন যে ভ্যারিয়েন্ট ছড়াচ্ছে সেটির বিরুদ্ধে এই টিকা সুরক্ষা দিতে পারবে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে ছিল মাথা ব্যথা, অবসাদ ও পেশিতে ব্যথা। সাধারণভাবে এসব ছিল হালকা। অল্প কয়েকজন অংশগ্রহণকারীর কিছু মাত্রায় গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এই বছরের তৃতীয়ার্ধ্বে ১০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের পথে রয়েছে নোভাভ্যাক্স এবং চতুর্থার্ধ্বে প্রতি মাসে ১৫ কোটি ডোজ উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে বলে দাবি করেছে কোম্পানিটি।