Home International ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ ট্রাম্প

ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ ট্রাম্প

168
0

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৩ সাল পর্যন্ত ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন না। এই সময় পর্যন্ত এই দুইটি মাধ্যমে তাকে নিষিদ্ধ করেছে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষ। ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা।

এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ফের ফেসবুক-ইন্সটাগ্রামে ফেরার সুযোগ পাবেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ায় গত জানুয়ারি মাসে তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করে ফেসবুক। সংস্থাটির ওভারসাইট বোর্ড সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখলেও ‘চিরতরে নিষিদ্ধের’ শাস্তির সমালোচনা করে। তারা বলেন, এমন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যা সাধারণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।

যৌক্তিক শাস্তি নির্ধারণ করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ছয় মাস সময় দিয়েছিল ওভারসাইট বোর্ড। কিন্তু এক মাসের মধ্যেই ফেসবুক তাদের সিদ্ধান্ত জানালো। ফেসবুকের বক্তব্য, ট্রাম্পের আচরণ ছিল সংস্থাটির নিয়মকানুনের চরম লঙ্ঘন। তবে ট্রাম্প দাবি করেন, ফেসবুকের এই পদক্ষেপ সেই কোটি কোটি মানুষকে অপমানের শামিল, যারা তাকে গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই বিশাল প্ল্যাটফর্মটিতে মন্তব্য যাচাই বাছাইয়ে রাজনীতিবিদরা যে ছাড় পেতেন, সেই নীতি থেকেও সরে আসার কথা জানিয়েছে ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘সংবাদ মূল্য রয়েছে’, এই যুক্তিতে উস্কানিমূলক বা আপত্তিজনক বক্তব্য দিয়ে রাজনীতিবিদরা যে ছাড় পেতেন, সেটি আর দেওয়া হবে না।

ফেসবুকের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ এক পোস্টে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের এই নিষেধাজ্ঞা ৭ জানুয়ারি থেকে কার্যকর বলে ধরে নেওয়া হবে, যেদিন তার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছিল।

নিক ক্লেগ বলেন, ‘যেসব ঘটনাপ্রবাহের কারণে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছিল, সেগুলোর গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা মনে করছি, তিনি আমাদের নিয়মনীতির গুরুতর লঙ্ঘন করেছেন, যা সর্বোচ্চ শাস্তি প্রাপ্য। যদি আমরা দেখতে পাই যে, এখনও জননিরাপত্তার গুরুতর ঝুঁকি আছে, তাহলে আমরা আরও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াবো এবং ঝুঁকি না কমা পর্যন্ত এভাবে পর্যালোচনা করে যাবো।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প কি জবাব দিয়েছেন?

ফেসবুকের এই নিষেধাজ্ঞার পর সেভ আমেরিকা পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ফেসবুকের এই আদেশ আমাদের দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ, যারা আমাদের ভোট দিয়েছেন, তাদের সবার জন্য অপমান। এভাবে সেন্সর করে আর চুপ করিয়ে দেওয়ার কাজ করে তাদের পার পেতে দেওয়া ঠিক হবে না। শেষ পর্যন্ত আমরাই জিতবো। আমাদের দেশ আর কোনও নিপীড়ন সহ্য করবে না।’

দ্বিতীয় আরেকটি বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতাকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘এরপর আবার যখন আমি হোয়াইট হাউসে থাকবো, মার্ক জাকারবার্গ এবং তার স্ত্রীর অনুরোধে আর কোনও ডিনার হবে না।’

ক্যাপিটল হিলের সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ফেসবুকের বাইরে টুইটার, ইউটিউব, স্ন্যাপচ্যাট, টুইচ-সহ আরও কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিষিদ্ধ রয়েছেন ট্রাম্প। মূল ধারার সবকটি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষিদ্ধ হওয়ায় এক পর্যায়ে নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তাতে করেও নিষেধাজ্ঞা এড়ানো সম্ভব হবে না বুঝতে পেরে সেই প্রকল্পও স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here