মোট এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ (প্রথম পর্যায়) করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রায় ৩৫ হাজার বেসামরিক গেজেট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অনুমোদন না থাকায় এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এরইমধ্যে এসব গেজেট নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে আমরা ৪৩৪টি উপজেলার প্রতিবেদন পেয়েছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই এবং আপিল শুনানি শেষে আগামী ৩০ জুনের (২০২১) মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশ পাবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই তালিকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার নাম রয়েছে। জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের নামও তালিকায় রয়েছে। তবে এই দুই জনের নামের সঙ্গে তাদের পরবর্তী কর্মকাণ্ডের বিষয়েও লিপিবদ্ধ থাকবে।’
শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা বাড়বে
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দীর্ঘ ৯ মাস তাদের স্থানীয় দোসর জামায়াতে ইসলামি, মুসলিম লীগ, রাজাকার, আল বদর, আলশামস ও শান্তি বাহিনীর সহায়তায় বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা এবং দুই লাখ মা-বোনের সন্ত্রমহানি করে। বীর বাঙালির হাতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে হত্যা করে এ দেশের সূর্যসন্তান, জাতির মেরুদণ্ড বুদ্ধিজীবীদের।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করলেও তাদের কোনও তালিকা করতে পারিনি। বিলম্বে হলেও আমরা সেই তালিকা করা শুরু করেছি। দেশের প্রখ্যাত গবেষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরইমধ্যে কমিটি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে। প্রথম ধাপে আমরা ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করেছি। যাচাই- বাছাই শেষে ধাপে ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে।’