ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ৫০ লাখ টিকা দেশে এসেছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় এই টিকা এসে পৌঁছায়। এর আগে উপহারস্বরূপ ২০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে পাঠায় ভারত সরকার।
আজ পৌঁছানো ৫০ লাখ টিকা গাজীপুরের টঙ্গীতে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যালসের নিজস্ব ওয়্যারহাউসে রাখা হবে বলে জানা গেছে।
আজ বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন। বেক্সিমকোর ৯টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভ্যানে করে টিকাগুলো কোম্পানির ওয়্যারহাউসে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এই টিকার মধ্যে যদি কোনো ড্যামেজড টিকা থাকে তাহলে বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে (সেরাম থেকে) তা নিয়ে সরকারকে রিপ্লেস দেওয়া হবে। সমস্ত দায়িত্বটা বেক্সিমকোর। সাধারণত এর আগে এটা কোনো কোম্পানি করেনি, সরকার করত। এবার এই পুরো দায়িত্বটা বেক্সিমকো নিয়েছে। সেটা আমরা করতে যাচ্ছি।’
পাপন আরো বলেন, ‘ড্রাফট টেস্টিংয়ের চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে উনারা (সরকার) যেখানে বলবেন, দেশের সেখানেই আমরা তা পৌঁছে দেব।’
আগামী বুধবার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নার্সদের থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক একথা জানান।
বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা অক্সর্ফোড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড-১৯ টিকার (ভ্যাকসিন) তিন কোটি ডোজ। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৫০ লাখ টিকা সোমবার বাংলাদেশে এল।