যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইন্দোনেশিয়া। এটিকে এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় মহড়া হিসেবে অভিহিত করেছে জাকার্তা।
কালিমান্তানসহ ইন্দোনেশিয়ার তিনটি প্রধান দ্বীপে দুই সপ্তাহব্যাপী এই সামরিক মহড়া উপলক্ষে বুধবার এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দুই দেশের সেনাবাহিনী গত ১৪ বছর ধরে প্রতি বছর যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণ করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার বন্ধন যে খুব শক্তিশালী তার ওপর গুরুত্বারোপ করার উদ্দেশ্যে এই বছর উভয় দেশের তিন হাজার ৭০০-এরও বেশি সেনা মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের দক্ষিণাংশে নাতুনা দ্বীপমালার অদূরের পানিসীমাকে ইন্দোনেশিয়া তাদের একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করে। অন্যদিকে এই এলাকার প্রায় পুরো পানিসীমার সার্বভৌমত্ব দাবি করে থাকে বেইজিং।
দক্ষিণ চীন সাগরসহ অন্যত্র চীনের তৎপরতা প্রতিরোধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছে। এই বছর সামুদ্রিক এক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য জাকার্তাকে ৩৫ লাখ ডলার দিয়েছে ওয়াশিংটন।
আগামী শরতে মার্কিন ও ইন্দোনেশীয় নৌবাহিনী মিলে যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া। গত মে ও জুন মাসে দেশটি চীনা নৌ বাহিনীর সঙ্গেও যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। এর মাধ্যমে বেইজিংকেও সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করছে জাকার্তা।