চীনের সিনোফার্মের তৈরি আরও ৫৪ লাখ ডোজ টিকার চালান দেশে পৌঁছেছে। গতকাল শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে এসব টিকা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। মহামারিকালে চীন থেকে দেশে আসা করোনা প্রতিরোধী টিকার এটাই সবচেয়ে বড় চালান।
এই টিকা আসার ফলে চীনের উপহারের ১১ লাখ ডোজসহ সিনোফার্মের মোট ১ কোটি ৯৯ লাখ ১ হাজার ৩৫০ ডোজ টিকা পেলো বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য ডা শামসুল হকসহ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে এই টিকা গ্রহণ করেন।
ডা শামসুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এবারের চালানে ৫৪ লাখ ১ হাজার ৩৫০ ডোজ টিকা এসেছে। এগুলো সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতাধীন কোল্ড স্টোরেজে রাখা হয়েছে।
সিনোফার্মের ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনতে চুক্তি করেছে সরকার। এছাড়া কোভ্যাক্স সহায়তা থেকেও বাংলাদেশ সিনোফার্মের টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
চীন সরকারের উপহার হিসেবে ১২ মে ৫ লাখ ডোজ টিকা আসে বাংলাদেশে। সিনোফার্মের টিকার ওটাই ছিল প্রথম চালান। পরে ১৩ জুন উপহার হিসেবে আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা আসে।
উপহারের এই ১১ লাখ ডোজ টিকা আসার পর জুলাই মাসে সিনোফার্মের টিকার আরও ছয়টি চালান আসে। এর মধ্যে ৩ জুলাই রাতে ১০ লাখ ডোজ, ৪ জুলাই সকালে ১০ লাখ ডোজ, ১৭ জুলাই রাত পৌনে ১২টায় ১০ লাখ ডোজ এবং ওইদিনই দিবাগত রাত ৩টায় আরেকটি ফ্লাইটে ১০ লাখ ডোজ টিকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এরপর মাসের শেষদিকে ২৯ এবং ৩০ জুলাই আরো ৩০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। পরের মাসে ১০ আগস্ট ১৭ লাখ ডোজ, ১২ আগস্ট ১৭ লাখ ডোজ, ১৩ আগস্ট ১০ লাখ ডোজ এবং ২০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। চলতি মাসে এটাই ছিল সিনোফার্মের টিকার প্রথম চালান।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে সারাদেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করে সরকার। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়াও চীনের সিনোফার্ম, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মডার্নার টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে।