করোনাভাইরাস শনাক্তে বেসরকারিভাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দিচ্ছে সরকার। বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এই পরীক্ষা করাতে খরচ হবে ৭০০ টাকা।
আগামী দুই একদিনের মধ্যেই এই অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
দ্রুততম সময়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়।
অ্যান্টিজেন টেস্টে নাক কিংবা মুখবিহ্বরের শ্লেষ্মা ব্যবহার করা হয়, আরএনএ বিশ্লেষণের পরিবর্তে এখানে ভাইরাসের প্রোটিন শনাক্ত করা হয়। আবার রক্ত পরীক্ষা করেও অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি জানান, বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া সংক্রান্ত ফাইলে স্বাক্ষর হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফাইলে ফাইনাল সই আমি করেছি গতকাল। প্রজ্ঞাপন আকারে চলে আসবে দুই একদিনের মধ্যেই। অনুমোদন (নীতিমালা) বেশ কিছুদিন আগেই দেওয়া হয়েছিল। তবে কিটের প্রাইসিং ঠিক করা ছিল না। এবার প্রাইস ৭০০ টাকা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এটা ডিজি হেলথ থেকে প্রপোজাল এসেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যাদেরকে অনুমোদন দেওয়া হবে তারা অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে পারবে। তবে ভালো মানের হাসপাতালই অনুমোদন পাবে। সবাইকে অনুমোদন দেওয়া হবে না।’
এ বছরের ১১ মার্চ স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি স্টেটের নীতিমালা অনুমোদন করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
গত ১ জুন বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে কোভিড-১৯ রোগ নির্ণয়ে অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের নামসহ মূল্য নির্ধারণের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে প্রস্তাব পাঠায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞার স্বাক্ষরে পাঠানো ওই প্রস্তাবে বলা হয়, কোভিড মহামারীর সময় আরটিপিসিআরের পাশাপাশি অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা খুবই জরুরি। সরকারিভাবে ১০০ টাকায় অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি খাতে এই টেস্ট চালু করা খুবই জরুরি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন আছে বায়োসেন্সর এবং প্যানবায়ো নামে দুটি কিটের। এসব কিটের আনুমানিক মূল্য ৫০০ টাকা। এই মূল্যের সঙ্গে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতের অন্যান্য খরচসহ পরীক্ষাটির সর্বোচ্চ মূল্য ৭০০ টাকা করা নির্ধারণ করা যেতে পারে বলে প্রস্তাব দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর করোনাভাইরাস শনাক্তের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বাংলাদেশে চালু করে সরকার। শুরুতে দেশের ১০টি জেলায় এই পরীক্ষা কার্যক্রম চালু হয়।