বাজেট পেশের আগেই দাম বেড়েছিল সয়াবিনের। তবে বাজেটের পরদিন বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২-৩ টাকা।
শুক্রবার (৪ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার সাত মসজিদ বাজার, বাসস্ট্যান্ড বাজার, কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজারে এমনটা দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বড় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন আগেই। বাজেট উপলক্ষে আজ থেকে সয়াবিনের বাড়তি দামের বোতল বাজারে ঢুকেছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫ লিটার বোতলের সয়াবিন বিক্রি হয়েছিল ৬৬৫ টাকায়। আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৭২৮ টাকায়। একইভাবে সকাল থেকে বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। সাধারণ পেঁয়াজ (হাইব্রিড) বৃহস্পতিবার থেকে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। দেশি জাতের পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। আগে যা ছিল ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। একইভাবে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা।
মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ বাজারের চাল ব্যবসায়ী জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘বাজেটের কারণে মোটা চালের দাম বেড়েছে। মিনিকেট চালের দাম যেটুকু কমেছিল বাজেটের পর সেটা আগের দামে ফিরে গেছে। মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা।’
পেঁয়াজ-রসুন ব্যবসায়ী মো. রাসেল শিকদার বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। আগামীকাল থেকে দাম বাড়ার কথা। আজ থেকেই সব দোকানে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আজ সবাই ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দামে পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি করছে।’
কুমিল্লা রাইস এজেন্সির জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘মিনিকেট ১ নম্বরটা বেড়ে ৬২ টাকা হয়েছিল। পরে কমে ৫৬ টাকা হয়েছিল। আজ থেকে আবার ৬২ টাকা। মোটা চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায়।
জিয়া জেনারেল স্টোরের মালিক মো. জহিরুল হক বলেন, আটা প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা।
সবজি ব্যবসায়ী সবুজ হোসেন বলেন, ‘লম্বা বেগুনের দাম বেড়ে দ্বিগুণের কাছাকাছি হয়েছে একদিনে। ২৮ টাকায় কিনে ৪০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ ৪০ টাকায় কিনে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। ৪০ টাকার শসা আজ বিক্রি করছি ৫০ টাকায়। খরচসহ আগে লাউ ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা পড়তো। বিক্রি করতাম ৪৫ টাকায়। আজ সেটা খরচই পড়েছে ৪৪ টাকা। বিক্রি করতে হচ্ছে ৫০ টাকায়।’