নিয়মিত ক্রিকেটারদের ছাড়া বাংলাদেশ সফরে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। অন্যদিকে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ লড়াই করবে পূর্ণ শক্তি নিয়ে। তাই আপাতদৃষ্টিতে এগিয়ে আছে স্বাগতিকেরাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজও সেটা মানছে। বাংলাদেশকে ফেভারটি মেনেই মূল লড়াই শুরু করবে সফরকারীরা।
আপাতত হোটেলরুমে কোয়ারেন্টিনে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। রুমবন্দি থেকে বাংলাদেশকে আটকানোর পরিকল্পনা আঁটছেন ক্যারিবীয় কোচ ফিল সিমন্স। মূলত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই ২০২৩ বিশ্বকাপে খেলার জায়গা পোক্ত করতে চায় অতিথিরা।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা পাবে স্বাগতিক দেশ ভারতসহ আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ সাত দল। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের জায়গা করে নিতে হবে আগের সিরিজগুলো দিয়েই। তাই বাংলাদেশেরও বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার মিশনের শুরু এটি।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ক্যারিবীয় কোচ বলেন, ‘বাংলাদেশ স্পষ্ট ফেভারিট। কারণ, তারা ঘরের মাঠে ভালো খেলে। আমরা এ ব্যাপারে দ্বিমত করতে পারি না। আবার এটাই আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির শুরু। এই টুর্নামেন্ট দিয়েই বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে হবে, কাজেই এটাই শুরু। এখানে যদি তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্টে ভালো করেন, তাহলে আপনি নিজেকে এমন জায়গায় নিয়ে গেলেন, যেখানে কেউ আপনাকে সরাতে পারবে না। এই সুযোগটা শুধু আপনারই।’
সিমন্স আরো বলেন, ‘যেকোনো সিরিজই আমরা খেলতে নামি জয়ের জন্য। হ্যাঁ, বলতে পারেন, আমাদের পুরো দল এখানে নেই। কিন্তু যারা আছে, তার ভালো করতে চায়, খুবই ক্ষুধার্ত ও এই কন্ডিশনে খেলতে ও লড়াই করতে মুখিয়ে আছে। আমরা দেশ ছেড়েছি জয়ের লক্ষ্য নিয়েই। অভিজ্ঞতা প্রায় সময় ভূমিকা রাখে বটে। আমাদের কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। তবে কখনো তাড়না ও ক্ষুধা দিয়ে অভিজ্ঞতাকে পেছনে ফেলা যায়। আশা করি এই সিরিজে এমন কিছুই হবে।’
কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ করে ১৮ জানুয়ারি বিকেএসপিতে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ২০ ও ২২ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডে। আগামী ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।
এরপর ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে চার দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সফরকারী দল। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে, ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে।