কোপা আমেরিকায় পেরুকে উড়িয়ে দিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে ব্রাজিল। গতবারের ফাইনালিস্টদের ৪-০ গোলে হারিয়েছে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ব্রাজিল কোচ তিতে আগেই বলেছিলেন, কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন কোপা আমেরিকায়। সেটি করতেও দেখা গেলো পেরুর ম্যাচে। ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জেতা ম্যাচ থেকে ৬টি পরিবর্তন এনেছিলেন। গোলকিপার আলিসনের জায়গায় আসেন এদেরসন। মার্কুইনহোস ও লোদির বদলে রক্ষণে ছিলেন সিলভা ও অ্যালেক্স সান্দ্রো। মিডফিল্ডে কাসেমিরো, প্যাকেতার বদলে কাসেমিরো ও এভারটন। গতবার শুরুর একাদশে জায়গা না পাওয়া গাবিগোল এসেছেন রিচার্লিসনের জায়গায়।
ভেনেজুয়ালার বিপক্ষে ৪-৩-৩ ছকে খেললেও এই ম্যাচে ৪-৪-২ ছক বেছে নেন তিতে। নিলতন সান্তোস স্টেডিয়ামে শুরুটা আলো ছড়ানো না হলেও আক্রমণে খুবই ক্ষুরধার ছিল ব্রাজিল। যখনই সুযোগ পেয়েছে সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে।
তার প্রমাণও পাওয়া গেছে ১২ মিনিটে গোল। বাম প্রান্ত থেকে এভারটনের ক্রস গোলমুখ থেকে পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেনি পেরুর ডিফেন্স। একজনের হেডের পর সেটি পড়ে জেসুসের পায়ে। গোলমুখে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে দেওয়া তার শট থেকেই ভলিতে জাল কাঁপান অ্যালেক্স সান্দ্রো।
৩৯ মিনিটে গোল মুখের কাছে চলে গিয়েছিল পেরু। কিন্তু পেরুর শট বুক দিয়ে নামিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন দানিলো। তবে সময় যত গড়িয়েছে ব্রাজিল চাপ বাড়িয়েছে আরও।
যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় গোলের কাছে চলে যায় ব্রাজিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য পেনাল্টি অঞ্চলে নেইমারের দেওয়া বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে মেরে বসেন প্রথম গোল দাতা সান্দ্রো।
বিরতির পর আবারও গোলের কাছে চলে এসেছিল সেলেসাওরা। কিন্তু ৫২ মিনিটে জেসুসের দেওয়া পাস লক্ষ্যের মধ্যে রাখতে পারেননি দানিলো।
৬৩ মিনিটে ব্রাজিল পেনাল্টিও পেয়েছিল। নেইমারকে ফাউল করা হয়েছিল ভেবে রেফারি বাঁশি বাজালেও পরে দীর্ঘক্ষণ ভিডিও রিভিউর পর বাতিল হয় সেই সিদ্ধান্ত।
তবে ৬৮ মিনিটে আর পেনাল্টির প্রয়োজন পড়েনি। ফ্রেদের দেওয়া পাস ধরে নিচু শটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন ব্রাজিল অধিনায়ক নেইমার। তাতে প্রথম ম্যাচের মতো গোলের দেখা পেলেন এই ম্যাচেও। এর পর ৭৯ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে নিশ্চিত গোলের সুযোগ মিস করেন পেরুর খেলোয়াড় ভেলেরা।
ব্রাজিল পেরুর রক্ষণে ত্রাস ছড়িয়েছে শেষ দিকে। তারই ধারাবাহিকতায় ৮৯ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে সেলেসাওরা। প্রথম দুটি গোলের চেয়ে নজরকাড়া এক পারফরম্যান্সে গোলটি করেন এভারটন রেবেইরো। মিডফিল্ড থেকে নেইমারের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গোল মুখে ক্রস করেছিলেন রিচার্লিসন। ততক্ষণে এগিয়ে আসা এভারটন কোন ভুল করেননি। প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের হয়ে গোলের দেখা পেলেন তিনি।
৯০+৩ মিনিটে ফিরমিনোর শট পেরু গোলকিপার সেভ করতে পারলেও শেষ রক্ষা হয়নি। রিচার্লিসন দুইবারের চেষ্টায় জালের দেখা পেলে ৪-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।