এনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি ও নির্বাচন ব্যবস্থা বাংলাদেশের মানুষ এবং সারাবিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আগামী নির্বাচন, আইনের শাসন, মানবাধিকার, বাক-স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বিশেষ করে আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশের ভেতরে ও বাইরে শঙ্কা কাজ করছে।
আজ রোববার (১২ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আমীর খসরু।
বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশে যে নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে গেছে, এখানে যে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ ছাড়াই অবৈধ দখলদার সরকার ক্ষমতায় বসে আছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ যে সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে, সেই পরিস্থিতি নিয়ে দেশের ভেতরে ও বাইরে শঙ্কা কাজ করছে। এই শঙ্কা থেকেই বৈঠকে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রদূতরা জানতে চেয়েছেন—কীভাবে আগামী নির্বাচন হবে? কীভাবে সবার অংশগ্রহণে একটা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে? আমরা স্পষ্ট তুলে ধরেছি—বাংলাদেশের মানুষ নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা ছাড়া এই অনির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে বলে চিন্তাও করে না।’
আমীর খসরু বলেন, ‘পরিষ্কার কথা—এই সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। যারা বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, তাদেরকেও বলা হয়েছে—বর্তমান অবৈধ দখলদার, অনির্বাচিত সরকারের অধীনে বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের প্রতিনিধি, সরকার বা সংসদ নির্বাচন করতে পারবে না।’
ড. ইউনুস প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তার সম্পর্কে কোনো আলোচনা হয়নি বৈঠকে। শুধু তিনি নন, প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বে বিভিন্ন রিপোর্ট হচ্ছে। এই রিপোর্টগুলো বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?’
রোববার বেলা সোয়া ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাত দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন বিএনপি নেতারা। ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির গুলশানের বাসায় এ বৈঠক হয়। বৈঠকে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, ডেনমার্ক ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত অংশ নেন।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ উপস্থিত ছিলেন।