- প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিকের ভোট দেয়া বাধ্যতামূলক
- ভোট প্রদানে ব্যর্থ হলে জরিমানা করা হতে পারে
- এক নির্বাচনে একের অধিকবার ভোট দেয়া নিষেধ
অস্ট্রেলিয়ায় এই বছর ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্যে যারা উপযুক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে শতকরা ৯৬ জন ভোট দিতে নিজের নাম নিবন্ধন করেছেন।
ভোট দেয়া বাধ্যতামূলক, তাই আঠার বছরের বেশি বয়সী সব অস্ট্রেলীয় নাগরিক এই নির্বাচনে ভোট দিবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ভোট প্রদানে ব্যর্থ হলে আইন অনুযায়ী তাদেরকে জরিমানা করা হতে পারে।
বছরের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ান ইলেকটোরাল কমিশন নির্বাচনে ভোটের জন্যে অনিবন্ধিত প্রায় ৫ লক্ষ ৬০ হাজার লোকের সাথে যোগাযোগ করা শুরু করে।
নিয়মানুযায়ী এই নির্বাচন অবশ্যই এ বছরের ২১শে মে-র মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে। ইতিমধ্যে অনেকেই আসন্ন নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে অনুমান করা শুরু করে দিয়েছেন, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট নেয়া এখনও শুরু হয়নি।
কোনও কোনও শিক্ষাবিদ ধারণা করছেন এই বছর একটি ঝুলন্ত সংসদ বা Hung Parliament হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য শেষমেষ এরকমটা হবে কিনা, সেটা নির্ভর করবে ভোট-গণনা এবং নির্বাচনের ফলাফলের উপরে।
ঝুলন্ত সংসদের মানে হচ্ছে- যখন কোনও রাজনৈতিক দল বা দলের জোট হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়।
লা ট্রোব ইউনিভার্সিটির সহকারী রিসার্চ ফেলো ইয়ান টুলওক ঝুলন্ত সংসদ হতে হলে কী পরিস্থিতির দরকার হয় তা আমাদের কাছে ব্যাখ্যা করেছেন। বিস্তারিত শুনতে উপরের অডিও বাটনে ক্লিক করুন।
আধুনিক সরকার ব্যবস্থায় ছোট ছোট রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ক্ষমতার ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। এ কারণে ঝুলন্ত সংসদ দিন দিন আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।
গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির এসোসিয়েট প্রোফেসর পল উইলিয়ামস বলেন, যে কোনও ঝুলন্ত সংসদই ছোট দলগুলোর ক্রস বেঞ্চ সমর্থনের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে।
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের জন্যে নির্বাচনের বিধিমালা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভবিষ্যত সরকার নির্বাচনে ভূমিকা রাখার ও নিজের মতামত দেয়ার জন্যে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় সুযোগ।
অস্ট্রেলিয়ান ইলেকটোরাল কমিশন বলেছে ভোটাররা যদি ব্যালট পেপার পূরণ করার সময় কোনও ভুল করে ফেলে তাহলে তারা নতুন একটি ব্যালট পেপার চেয়ে নিয়ে আবার সেটি পূরণ করতে পারবে।
এইসি (AEC) আরও জানিয়েছে, ভোট দেয়া নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য। কিন্তু কেউ একটি নির্বাচনে একের অধিকবার ভোট দিলে তাকে কারাগারে যেতে হতে পারে।
আর যারা এখনি নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে ইউনিভার্সিটি অব সিডনি-র ডক্টর পিটার চেন বলেছেন, সবচেয়ে ভাল হচ্ছে বিভিন্ন জরিপের উপরে নজর রাখা কারণ নির্বাচন বিষয়ে সেগুলো বেশ ভালমতন আগাম ধারণা দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ান ইলেকটোরাল কমিশনের ইভান ইকিন-স্মিথ ফেডারেল নির্বাচনের আগেই সবাইকে নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করে নিজেদের তথ্য হালানাগাদ করে ফেলার জন্যে উৎসাহ দিচ্ছেন।
নির্বাচন ও ভোট কীভাবে কাজ করে তা সকলের বোঝার সুবিধার্থে এ সম্পর্কিত তথ্য ইংরেজির সাথে সাথে ইন্ডিজেনাস ভাষা ও ইংরেজি বাদে অন্যান্য ভাষায়ও সরবরাহ করা হচ্ছে।