করোনাসহ বিভিন্ন ভাইরাস প্রতিরোধক ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি মন্ত্রিসভায় অনুসমর্থন ও অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
বুধবার (১৬ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনে (২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন) নিজের নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুর প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের পাশপাশি দেশেই ভ্যাকসিন উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ লক্ষ্যে প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে আবিষ্কারক দেশের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘দেশে বর্তমানে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম তিনটি প্রতিষ্ঠান, যথা: মেসার্স ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মেসার্স পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও মেসার্স হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। তাদের কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা উৎপানের সক্ষমতা যাচাই করা হয়েছে। মেসার্স গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড কোভিড-১৯ প্রতিরোধী ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছে। তাদের উৎপাদিত ভ্যাকসিনটি বর্তমানে ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এর পাশাপাশি চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী জুলাই ও আগস্ট নাগাদ মাসে ৫০ লাখ করে টিকা চীন থেকে পাওয়া যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইসও) কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য ভ্যাকসিন সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। গত ৩১ মে ফাইজারের ভ্যাকসিনের এক লাখ ৬২০ ডোজ পাওয়া গেছে।’