গত ৮০ বছরে যেমনটা কখনও হয়নি, সেটাই আট বছরে দুই বার ঘটলো। ২০১৮ সালের পর এবারও বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নিয়েছে জার্মানি। কোস্টারিকার বিরুদ্ধে ৪-২ গোলে জিতেও কোনও লাভ হলো না দেশটির। হতাশাই কেবল ভর করলো তাদের মুখে।
এদিন মূলত ভাগ্য জার্মানির অনুকূলে ছিল না। কোস্টারিকার বিরুদ্ধে জয় পেলেও গ্রুপের অন্য ম্যাচে স্পেনকে হারিয়ে দেয় জাপান। ফলে বাদ পড়তে হয় জর্মানিকে। শেষ ম্যাচ জিতেও লাভ হয়নি জার্মানদের।
গ্রুপ ‘ই’ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় জাপান, আর রানার্সআপ হয়ে স্পেন উঠেছে নকআউটে। জার্মানির পয়েন্টও অবশ্য স্পেনের সমান ৪। তবে গোল ব্যবধানে অনেক পিছিয়ে দলটি।
কোস্টারিকার বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে জার্মানি। ১০ মিনিটের মাথায় হেডে গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে দেন ন্যাব্রি। গোল করার পরেও ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া ছিলেন মুলাররা। রক্ষণে নেমে গিয়েছিল কোস্টারিকার পুরো দল। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল করতে পারেনি জার্মানি।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে কোস্টারিকা। ফলও মেলে। ৫৮ মিনিটের মাথায় তাজেদার গোলে সমতা ফেরায় কোস্টারিকা। গোল খেয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় জার্মানি। কারণ জয় ছাড়া উপায় ছিল না তাদের। উল্টো ৭০ মিনিটের মাথায় নয়ারের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় কোস্টারিকা।
খেলা সেখানেই শেষ হয়ে গেলে জার্মানির পাশাপাশি স্পেনও ছিটকে যেত বিশ্বকাপ থেকে। কিন্তু সেটা হলো না। ৭৩ মিনিটে সমতা ফেরালেন কাই হাভার্টাজ। ৮৫ মিনিটের মাথায় আবারও গোল করেন তিনি। ৮৯ মিনিটে দলের চতুর্থ গোল করে নিকলাস ফুলকুর্গ। শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে জার্মানি।
তাতেও অবশ্য লাভ হয়নি। অপর ম্যাচে ২-১ গোলে স্পেনকে হারিয়ে দিয়েছিল জাপান। ফলে তিন ম্যাচ খেলে জাপানের পয়েন্ট দাঁড়ায় ছয়। আর স্পেন ও জার্মানি দু’দলেরই পয়েন্ট ৪। গোল পার্থক্যে পরের রাউন্ডে যায় স্পেন। অন্যদিকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় চার বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি।