করোনার নতুন ঢেউয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে ইউরোপ। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন সতর্কবাতা উচ্চারণ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইউরোপের প্রধান হ্যান ক্লুগে।
তিনি জানান, অবাধ চলাফেরা, ভ্রমণ, জনসমাগম এবং সামাজিক বিধি-নিষেধ শিথিলের ফলে গত সপ্তাহে অঞ্চলটিতে সংক্রমণ প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে।
হ্যান ক্লুগে বলেন, ইউরোপজুড়ে ১০ সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের গতি ছিল নিম্নমুখী। কিন্তু এমন অবস্থার ইতি ঘটছে। মানুষ শৃঙ্খলাবদ্ধ না হলে এ অঞ্চলে করোনার আরেকটি ঢেউ আঘাত হানবে।
টিকাদানে ধীর গতি, কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট এবং ক্রমবর্ধমান সোশ্যাল মিক্সিংয়ের ফলে এই ঝুঁকি বেড়েছে বলে মনে করেন হ্যান ক্লুগে। ইউরো ২০২০ কোভিডের একটি সুপার স্প্রেডার হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেও সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা।
এদিকে ভ্যাকসিনের দুইটি ডোজ করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি (ইএমএ) এই পর্যালোচনার কথা জানিয়েছে। ইউরোপে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে করোনার নতুন ঢেউয়ের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) যখন সতর্ক করছে তখন ইএমএ এই পর্যালোচনা হাজির করলো।
ইএমএ’র ভ্যাকসিন কৌশল প্রধান মার্কো কাভালেরি জানান, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় সৃষ্ট উদ্বেগের বিষয়ে তার সংস্থা সচেতন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ইইউ অনুমোদিত চারটি ভ্যাকসিন ভেল্টাসহ ইউরোপে ছড়ানো করোনাভাইরাসের সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিচ্ছে। সরেজমিন তথ্যে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, টিকার দুটি ডোজ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর। গবেষণাগারের পরীক্ষাতেও দেখা গেছে টিকার অ্যান্টিবডি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। ফলে এটি খুবই ভরসাজনক খবর।
ইইউতে অনুমোদন পাওয়া চারটি ভ্যাকসিন হলো, ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।