আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারাল নির্বাচন। ভোটের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই গত ছয় সপ্তাহ ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে বড় রাজনৈতিক দলগুলো। আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে যারা সরকার গঠন করবেন, তাঁদের কাছে বাংলাভাষী নাগরিকদের প্রত্যাশা কী, এই নিয়ে এসবিএস বাংলার এবারের প্রতিবেদন।
আসছে শনিবার ২১ মে ২০২২, অস্ট্রেলিয়ার ফেডারাল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশজুড়ে হাজারেরও বেশি ভোট কেন্দ্রে প্রায় সতের মিলিয়ন ভোটার সেদিন ভোট প্রদান করবেন।
ইতিমধ্যেই অবশ্য অনেকে ডাকযোগে অথবা সশরীরে কেন্দ্রে গিয়ে আগাম ভোট প্রদান করেছেন।
শেষমুহুর্তের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ও বিরোধীদলীয় নেতা অ্যান্থনি অ্যালবানিজিও সেই প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
এই নির্বাচনে ভোটারদের সংসদের নিম্নকক্ষ বা লোয়ার হাউজের জন্যে একজন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ও উচ্চকক্ষ বা আপার হাউজের জন্যে একজন সিনেটর নির্বাচিত করতে হবে।
ভোটাররা অনেকেই মনস্থির করে রেখেছেন কোন প্রার্থী বা দলকে তাঁরা ভোট দেবেন। আবার অনেকেই এখনও চোখ রাখছেন দলগুলোর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও দলীয় নীতির দিকে।
সমাজের বিভিন্ন বয়স ও পেশার মানুষেরা আসন্ন নব-নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রত্যাশা ও দাবী রাখেন।
বাংলাভাষী কম্যুনিটির কয়েকজন তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এসবিএস বাংলার সঙ্গে।
তাঁরা জানিয়েছেন, নির্বাচনে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থী বা দলের কোন বিষয়গুলো তাঁরা বিবেচনা করবেন, নব-নির্বাচিত সরকারের কাছে তাঁদের প্রত্যাশাই বা কী?
ডক্টর সানিয়াত ইসলাম।
ডক্টর সানিয়াত ইসলাম মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আগামী সরকারে যারা আসবে তাঁদের একটি পরিষ্কার অবস্থান নেয়া উচিৎ।
ভোট প্রদানে তিনি এবারে এ বিষয়ে দলগুলোর প্রতিশ্রুতির ব্যাপারটি সর্বোচ্চ বিবেচনায় রাখবেন।
মাহিন।
বাংলাভাষী কম্যুনিটির অন্য আরেকজন সদস্য মাহিন জানিয়েছেন, রাস্তা-ঘাট ও ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নের বিষয়টি নির্বাচন নিয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণে বেশি গুরুত্ব পাবে।
নাদেরা সুলতানা নদী।Nadera Sutana Nodi
মিডিয়া এবং সংস্কৃতিকর্মী নাদেরা সুলতানা নদী বলেন, নির্বাচনে তিনি সবসময় লক্ষ রাখেন রাজনৈতিক দলগুলো কী কী বিষয় নিয়ে কথা বলছে এবং কী কী পরিবর্তন নিয়ে আসছে।
তবে তিনি বিশেষ করে ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন এবং মাইগ্রেশন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নীতিগুলোতে বেশি আগ্রহী।
রনি খান
আর রনি খানের মতে, অভিবাসন কমায় অস্ট্রেলিয়ার শ্রমশক্তি ও ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো যে চাপে পড়েছে, সে দিকে গুরুত্ব বেশি দেয়া উচিৎ আগামী সরকারের।