মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, আফগানিস্তানে চীনের সম্ভাব্য অংশগ্রহণ একটি ইতিবাচক বিষয় হতে পারে। তিনি বলেন, এটা হতে পারে যদি চীন আফগানিস্তানে চলমান সহিংসতার শান্তিপূর্ণ সমাধান আর সত্যিকার একটি প্রতিনিধিত্বশীল ও অংশগ্রহণমূলক সরকারের বিষয়ে আগ্রহী হয়ে থাকে। তালেবান প্রতিনিধিদের চীন সফরের পর এমন মন্তব্য করলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফর করেছেন। দুই দিনের এই সফরে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। এই বৈঠকে তালেবান নেতারা আশ্বস্ত করেছেন আফগান ভূমিকে তারা চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে দেবেন না। আর চীন জানিয়েছে, শান্তি প্রক্রিয়া এবং আফগানিস্তান পুনর্গঠনে তালেবানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করে তারা।
ভারত সফরের সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তালেবান নেতাদের চীন সফর নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ‘তালেবানের সামরিক দখলদারিত্ব, ইসলামিক আমিরাত পুনর্বহালে কারোরই কোনও স্বার্থ নেই।’ তিনি তালেবানদের শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ক্রমেই ভেঙে পড়ছে। চীন সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের বিস্তৃত এলাকা নতুন করে দখল করে নিতে শুরু করেছে তালেবান। কাতারে চলমান শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না হলেও আফগানিস্তানের নতুন নতুন জেলা আর সীমান্ত ক্রসিং দখলে নিচ্ছে তালেবান।
বুধবার চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তালেবানের পক্ষ থেকে আফগানিস্তানের মাটি কোনোভাবেই চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে না দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জবাবে আফগানিস্তানের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা এবং দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ না করার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। একইসঙ্গে আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে সহায়তার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেছে তারা।