অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্স ফোর্স (এডিএফ)-এ যোগদানের ক্ষেত্রে বাংলাভাষীদের কতোটুকু সুযোগ রয়েছে? এ রকম নানা প্রশ্ন নিয়ে বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন এডিএফ-এর বাংলাভাষী একজন সদস্য মাকসুদুল হক শাকেব।
২০৪০ সাল নাগাদ অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করে এর আকার এক লক্ষ অতিক্রম করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্স ফোর্সে যোগদানের ক্ষেত্রে বাংলাভাষীদের কতোটুকু সুযোগ রয়েছে? দ্বৈত নাগরিকত্ব কি এক্ষেত্রে অন্তরায়? পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি ভিসাধারীরা কি এতে যোগ দিতে পারেন? এ রকম নানা প্রশ্ন নিয়ে বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন এডিএফ-এর বাংলাভাষী একজন সদস্য মাকসুদুল হক শাকেব। তিনি বলেন,
“ডিফেন্স একাধিক ভাষাভাষীদেরকে সবসময় উৎসাহিত করে যোগদানের জন্য”CPL Maksudul Shakeb
“যারা ভিন্ন ভাষার ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে তাদের জন্য ডিফেন্স সবসময়েই একটা প্রায়োরিটি দিয়ে থাকে। কারণ, ডিফেন্স দোভাষীদেরকে উৎসাহিত করে সবসময় যোগদানের জন্য।”
“অন্য ভাষা জানা থাকলে প্রয়োজন হলে ডিফেন্স আপনাকে দোভাষী হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। তাই যারা আমরা বাংলা জানি, তাদের আবেদন অন্য আবেদনকারীদের থেকে প্রায়োরিটি পাবে।”
আগ্রহীদেরকে এডিএফ-এর ওয়েবসাইটটি দেখার পরামর্শ দেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ায় আসার আগে বাংলাদেশে অবস্থানকালে শাকেব বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর বা বিএনসিসি-এর সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর কমিশন্ড র্যাংকেও যোগদানের চেষ্টা করেন তিনি এবং ইন্টার সার্ভিস সিলেকশন বোর্ডের চূড়ান্ত পরীক্ষার চতুর্থ দিনে ব্যর্থ হন।
প্রতিরক্ষা বিভাগে কাজের সেই সদিচ্ছা তার পূরণ হয় অস্ট্রেলিয়ায় আসার পর। শাকেব বলেন,
“আমি ২০১২ সালের জুন নাগাদ এডিএফ-এ যোগদান করি।” শুরুতে আর্মিতে যোগদান করলেও বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ান এয়ারফোর্সে কর্মরত আছেন।
তার মতে, “পেশা হিসেবে ডিফেন্স অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং।” তবে, অন্যান্য সিভিলিয়ান জবের তুলনায় ডিফেন্স একটু বেশি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়, বলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স বা এডিএফ-এ যোগদান করার ক্ষেত্রে বয়স সীমার উল্লেখ করেন শাকেব এবং এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “আপনি ৩০-৪০ বছর, যখনই জয়েন করেন না কেন, আপনাকে ফিটনেস টেস্ট পাশ করতে এবং আপনাকে ফিজিকালি যথেষ্ট ফিট থাকতে হবে।”CPL Maksudul Shakeb