পরীমণিকে ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টা ঘটনার ৬ দিনের মাথায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ‘তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন’ করেছে! ১৫ জুলাই রাত ১টার পরে সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু হয়েছে এবং কিছু আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে। উক্ত মামলায় দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি পরীমণির সার্বিক সহযোগিতা করতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।’
এর আগে ঘটনা সুরাহার জন্য পরীমণি সমিতির সহযোগিতা চেয়েও পাননি বলে অভিযোগ করেন। ১৩ জুন নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান তিনি। উক্ত সম্মেলনের পর ঘটনাটি জানতে পেরে পুরো দেশ নড়ে-চড়ে বসে। টনক নড়ে প্রশাসনের। ঘটনার রাত ৯ জুন বনানী থানা সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ না করলেও ১৪ জুন দুপুরে সাভার থানায় মামলা দায়ের করতে পারেন পরীমণি। এদিন দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার হন প্রধান আসামী নাসির ইউ মাহমুদ। একই সঙ্গে নাসির ইউ মাহমুদকে বহিষ্কার করে ঢাকা বোট ক্লাব।
অভিযুক্তরা গ্রেফতারের পর পরীমণি স্বস্তি প্রকাশ করেন। বলেন, ‘অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করায় ভরসা পাচ্ছি। আশা করি ন্যায্য বিচার পাবো।’
এদিকে পরীমণিকে ঘিরে এতো কিছুর পরেও মিলছিলো না চলচ্চিত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ কিংবা প্রতিবাদ। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। সমালোচনা থেকে বাদ পড়েনি পরিচালক ও প্রযোজক সমিতিও।
অবশেষে সব ঘটনা আইনি পর্যায়ে পৌঁছানোর পর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মধ্যরাতে এই ‘তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন’কে বিস্ময়কর বলে মনে করছেন শিল্পী-সমালোচক সমাজ।